আজ নারী দিবস 107 বছর পূর্ণ করে 108 বছর এ পা দিল। 1913 থেকে 8ই মার্চ নারী দিবস হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে । যদিও পুরো মার্চ মাস জুড়ে বিভিন্নভাবে নারীমুক্তির কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত থাকা হয় এবং প্রতিবছর নারীদের বিশেষ কোনো একটি সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কার্যাবলী নির্ধারিত হয় ।বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বিশ্ব নারী দিবস পালিত হয়। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মনে করেন যে নারী মুক্তির লড়াই শেষ হয়ে গেছে। সর্বস্তরে আজ নারীর জয়ধ্বজা উঠছে। কিন্তু সত্তরের দশক থেকে যারা নারী মুক্তি নিয়ে কাজ করে চলেছেন তাদের বক্তব্য লক্ষ্য এখনও বহু দূরে। দুর্ভাগ্যবশত সামাজিক পটভূমিকায় মেয়েরা এখনো পুরুষের সমমর্যাদায় আসীন হওয়া তো অনেক দূরের কথা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক দেশেই আজও উপেক্ষিত অথবা পিছিয়ে আছেন। পারিবারিক হিংসার ক্ষেত্রে ও তারা সর্বত্রই নিগৃহীত হয়ে থাকেন।সমাজ একটি মেয়ের ওপর দোষারোপ করতে কখনোই ছাড়ে না। আইনি ব্যবস্থা প্রচুর থাকা সত্ত্বেও যে কাজের কাজ হয়না তার প্রধান কারণ, বহুযুগের পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোয় পালিত মানুষের মন আজও সেই বদ্ধ ভাবনাগুলি থেকে মুক্তি পায়নি। আজও একটি নির্যাতিত অসহায় নারীর দিকে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার মত মানুষ বড়ই কম কি নারী কি পুরুষ। একটি নারী পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে জাগতিক চেতনায় যুক্ত হয়ে তার আপন সত্তায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া বা হতে চাওয়ার পথে আজও অনেক বাধা অনেক বিঘ্ন। এই পথটুকু সে পার হয়ে যাবে। তাকে তার লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে। নিজের মধ্যেই উপলব্ধি করতে হবে সেই পরম শক্তিকে, জাগতে হবে আত্মচেতনা যুক্ত নারীকে নিজে নিজেই। না হলে এই সৃষ্টিরক্ষা হবে কি করে। তার হাতে যে সৃষ্টির কাজ পড়ে আছে। একই সোজা কথা। আর পুরুষ, শুভ চেতনা সম্পন্ন পুরুষ চিরকালই ছিলেন আজও তারা আছেন এবং থাকবেন ও নারীর সঙ্গে সুষম সহাবস্থানে পূর্ণ করতে জগত চেতনাকে।
No comments:
Post a Comment